
মননের সম্পর্কে
মনন একাডেমীর শুরুটা ২০১৭ সালে অন-ক্যাম্পাস হলেও, ২০২০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী কোভিড – ১৯ এর লকডাউনের কারণে যাত্রা শুরু হয় অনলাইন কার্যক্রম।
প্রথমে ঢাকার মিরপুর এবং সায়েন্সল্যাব ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৫৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও, প্রতি বছরই শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে মনন একাডেমীর প্রতিটি ক্যাম্পাস হতে থাকে শিক্ষার্থীমুখর। ২০১৯ সালের ভর্তি পরীক্ষায় BUET, KUET, RUET, CUET, DU সহ সারাদেশের প্রথিতযশা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মননের শিক্ষার্থীদের ঈর্ষনীয় সাফল্য সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং অনুরোধ আসতে থাকে আরো নতুন নতুন ক্যাম্পাসের জন্য।
এরপর ২০২০ সালে করোনা মহামারীতে সকল অফলাইন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলেও, সে-বছরই অনলাইন এডমিশান প্রোগ্রামে সংযুক্ত হওয়া ৩৭ জন এর মধ্যে থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী BUET এ চান্স পাওয়ার মাধ্যমে নির্দেশিত হয়- অনলাইনেও মনন একাডেমী তার গুণগত মান নিয়ে আপোষহীন।
মনন একাডেমীর ২০১৮ হতে ২০২৩ পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী চান্স পায় BUET, KUET, RUET, CUET, SUST, DU, KU, RU সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মুহুর্মুহু প্রতিযোগিতার এই যুগে পড়াশোনার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা- ই মনন একাডেমীর একমাত্র লক্ষ্যমাত্রা। একারণে তাই, যথেষ্ট আবেদন-অনুরোধ থাকা সত্ত্বেও মনন একাডেমীর অফলাইন ক্যাম্পাস সংখ্যার প্রবৃদ্ধি খুবই ধীর।
আমরা বিশ্বাস করি- Slow but steady and consistent wins the race.
এই মূলনীতির প্রমাণ স্বরূপ, ২০২২ সালে BUET ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকায় ৪১ তম অবস্থান অর্জন করে আমাদের মিরপুর ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী সুহাইব সিনান অহিন এবং ৪৯ তম অবস্থান অর্জন করে রংপুর ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী রাইহানুল কবীর। এছাড়াও রয়েছে, রংপুর ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী তামিম চৌধুরী এবং রাশেদুল হাসান রাশিক।
মনন একাডেমী শিক্ষার্থীদের একাডেমিক থেকে এ্যাডমিশান পর্যন্ত সর্বোচ্চ যত্ন, মনোযোগ এবং প্রতিনিয়ত তাদের মেধা ও মননের বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করাতে সর্বদা সচেষ্ট। ফলে, SSC-HSC বা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তাদের ফলাফল বা, পারফর্ম্যান্স নিয়ে আমরা, শিক্ষার্থীরা নিজেরা এবং অভিভাবকেরা থাকেন সম্পূর্ণ নির্ভার ও আত্মবিশ্বাসী।
শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের এই আত্মবিশ্বাস এবং দোয়া ই আমাদের অর্জন এবং প্রতিদিন-ই তাদের জন্য আরো ভাল সেবার মানোন্নয়ন-ই হলো আমাদের একমাত্র লক্ষ্যমাত্রা।